সোমবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা একসঙ্গে এই ভ্রূণগুলো উদ্ধার করেন।
ভ্রুণগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হত বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিরাজ হোসেন জানান, রাতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাসপাতালের পশ্চিমে প্রধান পানির ট্যাংকের পাশে থাকা ডাস্টবিনের ময়লা অপসারণ করার সময় ময়লার স্তূপের ভেতর প্লাস্টিকের বালতিতে ভ্রূণগুলো দেখতে পান। পরে তারা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।
নাম প্রকাশ না করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালের গাইনি বিভাগে অনেক মায়ের অপরিণত বাচ্চা হয়। অনেক সময় পরিবারের লোকেরা এসব ভ্রূণ নিয়ে যান; আবার অনেকে হাসপাতালে ফেলে যান। যেসব ভ্রূণ ফেলে যাওয়া হয় সেগুলো দিয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়। পরে তা কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
ভ্রূণগুলোর অধিকাংশের হাত-পা-মাথা রয়েছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, “উদ্ধার হওয়া ভ্রুণগুলো ২৫ বছর আগের পুরনো। ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত ভ্রুণগুলো গাইনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
বর্তমানে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোনো কাজে আসছে না; তাই এগুলোকে ব্যবহার অনুপোযোগী ঘোষণা করা হয়েছে বলে বাকির হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “বাতিল হিসেবে গণ্য ভ্রুণগুলো মাটিচাপা দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু এগুলো কেন ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হলো তা গাইনি বিভাগ সংশ্লিষ্টরা ভালো জানেন।”
এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান পরিচালক বাকির হোসেন।
এদিকে, ভ্রুণগুলো সুরাতহাল করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি নূরুল ইসলাম।