নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে শাবি চ্যাম্পিয়ন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ প্রতিযোগিতায় একটি বিভাগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘অলিক’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

হোসাইন ইমরান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2019, 07:03 AM
Updated : 18 Feb 2019, 09:38 AM

দলের তত্ত্বাবধায়ক কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, “বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে একটি অ্যাপ তৈরি করে অলিক এই বিজয় পেয়েছে।

“স্পেস অ্যাপস কর্তৃপক্ষ বোববার ইমেইলের মাধ্যমে খবরটি আমাদের জানিয়েছে। এর আগে শুক্রবার সংস্থাটি তাদের অফিশিয়াল পেইজে অলিকের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খবর প্রকাশ করে।”

নাসার তথ্য ব্যবহার করে ‘লুনার ভিআর’ প্রজেক্ট নামে এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অ্যাপটির মাধ্যমে চাঁদের পরিবেশ, তাপমাত্রা, বিভিন্ন জায়গার অবস্থা, চাঁদ থেকে সূর্যের ছবি, চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন হয় এমন বিষয়গুলো দেখা যাবে।”

এর আগে কোনো বাংলাদেশি দল নাসার কোনো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়নি বলে তিনি জানান।

গত বছর এই আয়োজনে ‘অলিক’ শীর্ষ চারে উঠেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় আমেরিকা, জাপানসহ প্রায় সব উন্নত দেশই অংশ নেয়।

এ বছর অলিকের সদস্যরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এসএম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কাজী মাইনুল ইসলাম, আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হাসান।

বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, “নাসার সদর দপ্তরে যাওয়ার ডাক পেয়েছে পুরো দল। ফাইনাল ডেট এখনও জানানো হয়নি। তবে সেটা খুব শিগগির তারা জানাবে।”

খবরটি ক্যাম্পাসে আসার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারা পৃথিবীর ছেলেমেয়েরা যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের জন্য একটি আনন্দের খবর।”

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মেধার পরিচয় দিয়ে দেশের জন্য সম্মান নিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের এমন অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার খুবই উচ্ছ্বসিত। তারা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারাদেশের গর্ব। তাদের যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবোর্চ্চ চেষ্টা করা হবে।”

অ্যাপটি সম্পর্কে দলের সদস্য এস এম রাফি আদনান বলেন, এই অ্যাপে অনেকটা থ্রিডি এনভারনমেন্ট দেখানো হয়েছে। মূল ফিচারগুলো হল অ্যাপোলো-১১, এলআরও স্যাটেলাইট, একলিপ্স ও ভার্চুয়াল এক্সপ্লোরেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট।

“এমনভাবে করা হয়েছে যাতে চাঁদে প্রত্যক্ষ ভ্রমণের অনেকটা অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন দর্শক ।”

অলিকের অন্য দুই সদস্য কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইভেন্টে ভালো কিছু করার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।