এতে দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এলাকাবাসী।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ অভিযোগ করেন, “ইউএনও মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা পৌর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অন্যায়ভাবে শত বছরে পুরনো সড়কটি বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন।
সড়কটি উন্নয়নের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পৌর কর্তৃপক্ষের অধীনে জনস্বার্থে জাইকার অর্থায়নে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণকাজ চলছে।”
প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে বুধবার বিকালে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
“ওই সব এলাকার মানুষ এই সড়ক দিয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, এ কে এম কলেজ, দেওয়ানগঞ্জ বাজার, রেলস্টেশন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত করে। আরওআর এবং বিআরএস রেকর্ডভুক্ত এই সড়কটি সম্প্রতি অন্যায়ভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।”
যাতায়াতে দুর্ভোগের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ এলাকার ‘কয়েকশ পরিবার’ নিরাপত্তা ঝুকিতে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন পৌর কাউন্সিলর নুরে আলম সিদ্দিকী জুয়েল।
“সরকারি ম্যাপের এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় নিজ বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে দেওয়ানগঞ্জ থানা, বাজার, নিজ বাড়ী সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ ও হাসপাতালে যেতে হবে।”
ওই এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম, শিক্ষার্থী মাইশা আঞ্জুমান ও স্থানীয় সমাজসেবক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, তারা হেঁটে পাঁচ মিনিটে উপজেলা চত্বর, কলেজ ও বাজারে যেতে পারেন।
“আমরা অবিলম্বে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, “উপজেলা পরিষদ চত্বর ও উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা বের করে দেওয়া হবে।”