এছাড়া দণ্ডিত তিনজনকেই পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বুধবার এ রায় দেন।
জামিনে যাওয়অর পর পলাতক হওয়ায় রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মোয়াজ্জেম মজু। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মজুর ছোট ভাই মোবারক এবং চাচাত ভাই আরমান।
মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি মজুর বড় ভাই আজিজুল ইসলাম আরজু বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় বিচার থেকে অব্যাহতি পান।
দণ্ডিত সবাই জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মান্দারকান্দি গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে আক্তারুজ্জামান প্রেম করে মামাত বোন সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে রয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ জুলাই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে সেলিনা বাবার বাড়ি চলে গেলে পরদিন আক্তারুজ্জামান স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান।
সেখানে সেলিনার তিন সহোদর আজিজুল ইসলাম আরজু, মোয়াজ্জেম মজু ও মোবারক এবং চাচাত ভাই আরমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আক্তারুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে বলে অভিযোগ করা হয়।
আশংকাজনক অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যায় বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আক্তারুজ্জমানের বড় ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।