আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসন (২৪) ওই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালামুদ্দিন কারিকরের ছেলে আলামিন কারিকর (২৫) ও অব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০)ও শরিফুল ইসলামকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
আনুলিয়া ইউনিয়নের চৌকিদার আব্দুস সাত্তার জানান, জাহাঙ্গীর এলাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে রবিউল,আলামিন ও আব্দুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে।
“পথে তারা জাহাঙ্গীরের গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ওই মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সাথী খাতুন তাকে জাহাঙ্গীরের নিখোঁজের ব্যাপারটি জানান।
এ সময় রবিউলকে ডেকে এনে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনকে খবর দেওয়া হয়। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর হত্যার ঘটনাস্বীকার করে বলে জানান সাত্তার জানান।
তিনি বলেন, “পরে রবিউল ও আলামিনকে আটক করে থানায় খবর দেলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে।তাদের দেওয়া তথ্যে জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।