রাকসু নির্বাচনের সংলাপ শুরু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2019, 04:51 PM
Updated : 7 Feb 2019, 04:51 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাত সদস্যের একটি দল প্রথম সংলাপে বসে।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও রাকসু সংলাপ কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, “ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে আজ ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে বসেছি। তারা বেশকিছু দাবিদাওয়া তুলেছে। সেগুলো ভেবে দেখা হবে। তবে তারা রাকসুর সভাপতি পদ নিয়ে যে দাবি তুলেছে, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেননা, রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপাচার্যই এখানকার সভাপতি হবেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, কমিটির তালিকা আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রক্টর অফিসে জমা দেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ ১০টি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন তাদের গঠনতন্ত্র ও কমিটির তালিকা জমা দেয়।

সংলাপ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক নাজমুল হায়দার বলেন, “ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে রাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত সংলাপ কমিটি। ধারাবাহিকভাবে দশটি সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় চলবে। আগামী ১২ তারিখ বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে।

আলোচনা ছাত্র ফেডারেশন আটটি দাবি উত্থাপন করেছে বলে জানান সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি কিংশুক কিঞ্জল।

তাদের দাবিগুলো হলো- রাকসুর সভাপতি পদে উপাচার্য নন, ছাত্র প্রতিনিধি চাই; হলের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম বা একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্রগুলো স্থাপন করতে হবে; ভোটকেন্দ্রগুলোকে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় এনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তা সকলের সামনে উন্মুক্ত করতে হবে যেন তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করা যায়;

ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে পরিবেশ পরিষদ গঠন করতে হবে; অতি দ্রুত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু বাবদ ফি পরিশোধ করেন তারাই ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন;

ডাকসু নির্বাচনের সংলাপে বাকি সকল সংগঠনের মতামতকে উপেক্ষা করে যে একক একটি দলের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হলো, এমন অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত রাকসুতে নেওয়া যাবে না;

রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত নন, এমন শিক্ষকদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি রাখতে হবে এবং অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে সান্ধ্য আইন এবং রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

আলোচনায় কিংশুক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কর্মকার, প্রচার ও প্রচারণা বিষয়ক সম্পাদক ইস্রাফিল আলম, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মহাব্বত হোসেন মিলন, সদস্য আসমা ঊষা, অন্তু বিশ্বাস ও আব্দুস সবুর লোটাস।

অন্যদিকে রাকসু সংলাপ কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সদস্য সচিব অধ্যাপক আবু সাঈদ নাজমুল হায়দার ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।