পাবনায় এবার কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার একদিন পর অজ্ঞাত হামলাকারীরা এক কৃষকলীগ নেতাকে খুন করেছে, যিনি এলাকার মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির সদস্য ছিলেন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2019, 02:20 PM
Updated : 7 Feb 2019, 04:55 PM

পাবনা সদর থানার ওসি ওবায়দুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার চর শিবরামপুর সুইচগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত খাইরুল ইসলাম (৪২) চর শিবরামপুর গ্রামের মৃত সাবের আলীর ছেলে। তিনি হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওর্য়াড কৃষকলীগের আহবায়ক ছিলেন।

জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে বুধবার গুলি করে হত্যা করা হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।  

খাইরুলের চাচাত ভাই ও হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খাইরুল ইসলাম চর শিবরামপুর সুইচগেটের অদূরে জলাশয়ে মাছ ধরতে যান।

“এ সময় কিছু লোক তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা খাইরুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

নুরুল ইসলাম জানান, মাস খানেক আগে তার ওয়ার্ডে ‘মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়। খাইরুল সেই কমিটির সদস্য ছিলেন।

“কমিটি গঠনের কিছুদিন পর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী একই গ্রামের রাসেল হোসেন ফেনসিডিল ও অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। রাসেলের সমর্থকদের ধারণা, তাকে গ্রেপ্তারের পেছনে খাইরুলের হাত ছিল।”

নুরুল ইসলাম বলেন, সেই প্রতিশোধ নিতেই রাসেলের সহযোগীরা খাইরুলকে হত্যা করেছে বলে তারা ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার রাতে ঈশ্বরদীর রূপপুর বিবিসি বাজার থেকে ফেরার সময় বাড়ির দরজায় মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেলিম আগে পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিছু দিন ধরে তিনি দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।