বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কোমরকান্দি গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাকে একলাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।
এ মামলায় খাইরুলের চাচাত ভাই সামাদ প্রামাণিকের ছেলে মো. জিকু এক বছরের সাজা পেয়েছেন।
এ ছাড়া বাকিদের তিনমাসের সাজা দিয়েছে আদালত। এরা হলেন- খাইরুলের বাবা ওমেদ প্রামাণিক, ভাই ফারুক হোসেন, চাচা আছান প্রামাণিক, আবুল কাশেম, ওছেল প্রামাণিক, আতিয়ার রহমান, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন,
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আকরাম হোসেন দুলাল জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গ্রামের একখন্ড জমি নিয়ে স্থানীয় পলাশ উদ্দিনের সঙ্গে খাইরুলদের পরিবারের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১৪ সালের ০৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আসামিরা পলাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় পলাশের ছেলে বাবুল হোসেন বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আসামিরা তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে বাবুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পলাশ বাদী কুমারখালী থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৫ মে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।