রেল ভ্রমণে সুবিধা বাড়ানো হবে: রেলমন্ত্রী

রেল ভ্রমণের সুবিধা বাড়াতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

টিকিট সংগ্রহে কালোবাজারি ঠেকাতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও তিনি জানান।

বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ে তিনি বলেন, স্বল্প খরচে জনগণ যেন রেলের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

“একদিকে যেমন গোটা দেশে রেল ব্যবস্থাকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাব; ঠিক তেমনি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হবে।”

দুপুরে ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১৯৬৫ সালের আগে ভারতসহ আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে এদেশে রেলের যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সেটি আবার নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের রেলর যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে গেছে; আর অনেকগুলো হওয়ার পথে।

“নির্বাচনেরেআগে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ‘একতা এক্সপ্রেস’ ও ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি চালু হয়েছে। আমরা আশা করছি এই ট্রেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের শিলিগুড়ির সঙ্গে সংযুক্ত হবে, যার ফলে নেপাল, ভুটান- এই দেশগুলির সঙ্গে আমাদের মংলা পোর্ট পর্যন্ত মালামাল পরিবহন সুযোগ বৃদ্ধি হবে।”

ট্রেনের টিকিট বিক্রি কালোবাজারির হাত থেকে মুক্ত করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজির হাতে জিম্মি এমন অভিযোগ পেয়েছেন।

“প্রাথমিক অবস্থায় আমরা টিকিটিং ব্যবস্থাটা ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা করছি যাতে অনলাইনে টিকিটটা করা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সে ব্যবস্থায় যেতে না পারছি ততক্ষণ জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে টিকিট দেওয়া হবে। এতে আশা করছি কালোবাজারির যে অভিযোগ তা দূর হবে।”

পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যও কাজ হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।

আগামী এক মাসের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী সুজন।

এ সময় তার সঙ্গে রেলওয়ে বিভাগের পশ্চিমাঞ্চল জোনের জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার শহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা. সাদেক কুরাইশী, সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলোসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।