ধুনটে পুলিশের নারী এএসআইয়ের ‘আত্মহত্যা’

বগুড়ায় এক নারী কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে, ‘দাম্পত্য কলহের’ কারণে যিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবার ও পুলিশের ভাষ্য।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2019, 12:49 PM
Updated : 6 Feb 2019, 12:57 PM

মৃত রোজিনা খাতুন (৩০) ধুনট থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বাসায় অসুস্থ হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, রাত ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়, যিনি সিংড়ার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তাদের এক মেয়ে জুঁই (৭) ও এক ছেলে রাজ (৪)।

স্বামী চাকরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারিতে ধুনট থানায় যোগদান করেন। তখন থেকে থানা ভবনের পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সঙ্গে হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাড়িতে হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি চলে যান।

“এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ১০টায় সে মারা যায়।”

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. সালেহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার কারণে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া পাঠানো হয়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কী কারণে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, “দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করতে পারেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”