ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নূরুল আমিন বিপ্লব বুধবার ১৪ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত শরীয়তউল্লাহ (৩৮) জেলার গফরগাঁও উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ইব্রাহিম খলিউল্লার ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় শরীয়তউল্লাহ আদালতে ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম খান মামলার নথির বরাতে বলেন, শরীয়তউল্লাহ তার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তা করতে দেননি তার বাবা খলিউল্লাহ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ শরীয়তউল্লাহ তার বাবা খলিউল্লাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।
“স্বজনরা তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মারা যান।”
এ ঘটনায় নিহত খলিলের অপর ছেলে সাদিকুল্লাহ গফরগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শরীয়তউল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আইনজীবী রেজাউল বলেন, শুনানি শেষে আদালত শরীয়তউল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় দেয়।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সরকার আনোয়ারুল কবীর।