শনিবার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘনপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশুটির মা অভিযোগ করেন, তিনি ও তার স্বামী কৃষি শ্রমিক। শনিবার সকালে আট বছর বয়সী মেয়েকে বাড়ি রেখে তারা দুজনে গ্রামের একটি জমিতে কাজ যান।
“বেলা ১১টার দিকে স্বামীকে কর্মস্থলে রেখে খাবার আনার জন্য আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার শিশু মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে কান্নাকাটি করছে।”
তিনি বলেন, মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে কাল্টু মামুদ (৫০) বাড়ি এসে জোড় করে মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাউল হাসান চৌধুরী বলেন, বেলা ১টার দিকে শিশুটিকে তার বাবা-মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে ধর্ষণ হয়েছে কিনা।
কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হক বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই আট বছরের শিশু ধর্ষণের খবর পাই। ধর্ষণ হয়েছে কিনা নিশ্চিত নই। বর্তমানে শিশুটি পুলিশ হেফাজতে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”
রোববার তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি কাল্টু মামুদকে আটক করতে পুলিশে অভিযান শুরু করেছে। শিশুটির পরিবার মামলা দায়েরর প্রস্ততি নিচ্ছে বলে পরিদর্শক মফিজুল জানান।