শ্রীবরদীতে প্রশ্নের ফটোকপি দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে এসএসসির একটি কেন্দ্রে ফটোকপি করা প্রশ্নপত্রে ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2019, 04:17 PM
Updated : 2 Feb 2019, 04:17 PM

শনিবার শ্রীবরদী এম এন বি পি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্র বিষয়ের সৃজনশীল অংশে এ পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।

উপজেলা প্রশাসন, কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে বাংলা প্রথমপত্রের সৃজনশীল অংশের প্রশ্ন সরবরাহ করার সময় শ্রীবরদী এম এন বি পি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩ ও ৮ নম্বর কক্ষের ৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০১৮ সালের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়।

পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র লিখতে গিয়ে সিলেবাসের সঙ্গে প্রশ্নের মিল খুঁজে না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পরীক্ষাকক্ষে কর্তব্যরত পরিদর্শকদের জানান।

সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেঁজুতি ধর ও কেন্দ্র সচিব আবুল খায়ের ওই দুই কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্র তুলে নেন।

এরপর ইউএনওর তত্ত্বাবধানে মূল প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে পুনরায় ওই দুটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। প্রশ্নপত্রের সমস্যা হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য পরীক্ষার্থীদের ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।

ওই কেন্দ্রের ৩ ও ৮ নম্বর কক্ষের পরীক্ষা ১টা ২০ মিনিটে শেষ হয়।

কেন্দ্র সচিব আবুল খায়ের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে  বলেন, ঢাকা বোর্ড থেকে সরবরাহ করা একটি প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের গায়ে ২০১৯ সাল লিখা ছিল।

“কিন্তু প্যাকেটের ভেতরে ছিল ২০১৮ সালের প্রশ্ন। পরীক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের কাছে এ ভুল ধরা পড়লে ইউএনওর তত্ত্বাবধানে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের তা সরবরাহ করা হয়। এটি বোর্ডের ভুল ছিল, স্থানীয় কোনো ভুল নয়।”

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী এ পি পি আই-এর প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আলী বলেন, প্যাকেটের গায়ে যাই লেখা থাকুক না কেন প্রশ্নের উপরে কী লেখা আছে তা দেখে পরীক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা উচিত। তবে বোর্ড এটি বড় ভুল করেছে। বোর্ডের এ ধরনের ভুলের জন্য অনেক পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে।

ইউএনও সেঁজুতি ধর  বলেন, ২০০ প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেটে ২০১৯ সালের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাই পরীক্ষার্থীদের অসুবিধাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার তত্ত্বাবধানে তার কার্যালয়ে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।

বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।