বৃহস্পতিবার উপজেলার রাজেন্দ্রপুর স্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-মাওয়া সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে শিশুদের বাবা মো. ডালিম হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান বলেন, সকালে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী ব্যারিকেড দিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ওই সড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
“পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের দুই পাশে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন। তারা ট্রাক চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।”
সোমবার স্কুল থেকে বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে রাজেন্দ্রপুর মোল্লারপুল এলাকায় ট্রাকচাপায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফাতিমা আফরিন (১৩) ও তার ভাই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আফসার হোসেন (১০) নিহত হয়।
তারা উপজেলার হাসনাবাদ কসমোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
এ দুর্ঘটনায় তাদের বাবা মো. ডালিম হোসেনও আহত হন।
ডালিম বলেন, “আমার সন্তানরা কোনো দুর্ঘটনায় মারা যায়নি। ট্রাকচালক আমার চোখের সামনে আমার সন্তানদের হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। অবিলম্বে ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আদিত্য মণ্ডল বলেন, “নিহতরা আমার বন্ধু ছিল। তাদের খুনির বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।
“আমরা সকালে বাসা থেকে বের হই, বিকেলে ফিরি। সড়কে ট্রাকচালকদের দানবীয় চলাচলের কারণে আমাদের বাসায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
ট্রাকচালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের রামানন্দ সরকার বলেন, “ট্রাক চালককে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আশা করি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।”