সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করা হয়। তবে বাসের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে।
এঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মনিরুল হক ডাবলু জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয়দের খবরে ভিত্তিতে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে দুর্বৃত্তদের কবল থেকে যাত্রীবাহী বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটি ডাকাতি না অন্য কোন ঘটনা তা তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
বাসের যাত্রী মনির হোসেন জানান, রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মাসফি ক্ল্যাসিক নামের বাসটি।
“নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় গিয়ে এটি ঘুরে উল্টো দিকে আসতে থাকে। কিন্তু বাসের যাত্রীরা ঘুমিয়ে থাকায় ব্যাপারটি তারা বুঝতে পারেননি। এরপর বাইপাইল এলাকায় ৮-১০ জন বাসে উঠে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।”
মনির বলেন, তাদের চিৎকারে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে বাসটি আটকায়। তখন বাসের চালক ও তার সহকারীসহ যাত্রীবেশে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ডাকাতদের মারধরে নারী-শিশুসহ অন্তত ১০জন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।