ফরিদপুরে শিক্ষক ও ব্যাংকার হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন

ফরিদপুরে কলেজশিক্ষক সাজিয়া বেগম ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসানের লাশ উদ্ধারের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2019, 02:42 PM
Updated : 25 Jan 2019, 02:48 PM

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাজিয়াকে হত্যার পর গলা দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফারুক। ওই ঘটনায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পুলিশ পায়নি।

আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তার সাজিয়ার স্বামী শেখ শহীদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপুল দে জানান, ফরিদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদ আলীর আদালতে বুধবার এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

গত বছর ৬ মে ফরিদপুর শহরে নূরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজিয়ার (৩৪) লাশ ও সিলিং ফ্যানে গলায় দিয়ে বাঁধা ফারুকের (৩৩) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাজিয়া ছিলেন ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ঢাকার সূত্রাপুর থানার বানিয়ানগর মহল্লার শেখ শহীদুল ইসলামের স্ত্রী ও একই এলাকার শেখ শাজাহানের মেয়ে। এই দম্পতির ১১ ও সাড়ে চার বছরের দুটি ছেলে রয়েছে।

আর ফারুক ঢাকা সোনালি ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় প্রিন্সিপাল কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।

লাশ উদ্ধারের পর সাজিয়ার ফুপু আফসারী আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাজিয়ার স্বামী শহীদুল ইসলামকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বিপুল দে বলেন, “ফারুক তার প্রেমিকা সাজিয়াকে হত্যার পর নিজে ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

“এ মামলায় সাজিয়ার স্বামী শহীদুলকে গ্রেপ্তার করা হলেও দোষ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে আদালতে।”

তদন্তে ব্যবহৃত তথ্য-প্রমাণ সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, “ময়নাতদন্ত, ভিসেরা প্রতিবেদন এবং ডিএনএ পরীক্ষায় তৃতীয় কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

“যে ঘর থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয় সেখানে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি জানার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই কক্ষে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়নি।”

এসব প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর শহীদুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।