বৃহস্পতিবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশবাহী গ্রাম থেকে জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়ের জানান।
২৬ বছর বয়সী জামাল নবগ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
এ নিয়ে এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ওসি বলেন, পুলিশের তদন্ত এবং মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেনের দেওয়া তথ্যে জামালের নাম উঠে আসে। এরমধ্যে জামাল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
“গোপনে খবর পেয়ে দশবাহী গ্রামে অভিযান চালিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গত শুক্রবার রাতে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে স্বামীর অনুপস্থিতিতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
পারদিন দুপুরে ওই নারী স্থানীয় জাকির হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়জনকে আসামি করে কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর জাকির, মান্না, হারুন ও সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে মান্না হলেন ওই গৃহবধূর স্বামীর সৎ ভাই।
ঘটনার প্রধান আসামি জাকিরকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা বলে এলাকাবাসী দাবি করলেও কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা অস্বীকার করেন।
এদিকে ধর্ষনের শিকার ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বলে পাঠানো হয়েছে বলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খলিল উল্যাহ জানান। তবে প্রতিবেদনে কি রয়েছে তা প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।