তার বড় ছেলে মাহাদী মোহসানুল হক লেমন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মোজাম্মেল হককে গণভবনে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘শেরপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল অসুস্থ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো বার্তার বরাত দিয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বুধবার সকালে মোজাম্মেল হকের কাছে পত্র দিয়েছেন বলেও জানান মাহাদী।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাক পাওয়ার পর বুধবার বিকালে অসুস্থ বাবা মোজাম্মেল হককে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। মীরপুরে তার বোনের বাসায় রাতে থাকবেন, সকালে গণভবনে যাবেন।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোজাম্মেল হক দীর্ঘ ২১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। দেড় বছর ধরে অসুস্থ তিনি। অর্থ সঙ্কটে দিনাতিপাত করছিলেন।
প্রায় দেড় বছর আগে তিনি লিভারের জটিলতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হন। আাগের মতো কথা বলতে পারেন না। হুইল চেয়ার ছাড়া চলতেও পারেন না। দুধ ও সামান্য জাওভাতসহ তরল জাতীয় খাবারই শুধু খেতে পারেন।
প্রায় ৮০ বছর বয়স্ক এই নেতা শেরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা ও তার পরিবারে সদস্যবর্গ নিহত হওয়ার পর এর প্রতিবাদে সভা করার অপরাধে ১৭ মাস ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে ছিলেন।