রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং যথারীতি অনুষ্ঠান শেষ হয়।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উতপ্ত পরিস্থিতি অল্প সময়ের মধ্যেই শান্ত হয়। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচিত বজলুল হক হারুনকে সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে।
অনুষ্ঠান শুরু হলে বিকাল ৫টার দিকে সাংসদ হারুন মঞ্চে উঠলে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগান দেয় তার সমর্থকরা।
এ সময় দুপক্ষ সভাস্থলের চেয়ার তুলে এক অপরের দিকে ছুড়ে মারে। পুরো উপজেলা পরিষদ চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এবং পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করলে সংবর্ধনা সভা পুনরায় শুরু হয়।
এ ব্যপারে আফরোজা আক্তার লাইজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংবর্ধনাস্থলে মাথায় ক্যাপসহ পোশাক-আশাকে সুসজ্জিত হয়ে হাজারো নারীরা যোগ দেয়।
“বিষয়টি দেখে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধার ইন্ধন ও নির্দেশে আমার মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। হঠাৎ এ হামলায় ২০/২৫ জন নারী আহত হয়েছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে বাচ্চু মৃধা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সভাস্থলের নিধারিত আসনে বসা নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে সামান্য ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। কোনো সংঘর্ষ হয়নি। এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়।