মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর তিনশ গজ উত্তরে রেলের জন্য ডাবল লাইনের একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এই সেতু নির্মাণ হলে সারা দেশের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগের আরও উন্নতি ঘটবে।
বিএনপির শাসনামলে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে একসঙ্গে রেলের ১০ হাজার কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “মৃত প্রায় রেলকে বাঁচাতে ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর পৃথক রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে বিগত সাত বছরে রেলের উন্নয়নে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
রেলের উন্নতি ঘটাতে নতুন নতুন রেল ইঞ্জিন ও কোচ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
“ইতিমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জন্য ৪০টি লোকমোটিভ ক্রয়ের চুক্তি করা হয়েছে। ব্রডগ্রেজ লাইনে চলাচলের জন্য ৫০টি কোচ আমদানি করা হয়েছে। গত আড়াই মাস থেকে সেইসব কোচ আসা শুরু হয়েছে।
“আমরা যেকোনো সময় রেলপথে চারটি নতুন ট্রেন চালু করতে পারব।”
এছাড়া পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটার গ্রেজ কোচ খুব শিগগিরই আসবে বলে মন্ত্রী জানান।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ওয়াগান থেকে শুরু করে কোচ নির্মাণসহ রেলেওর যাবতীয় কাজ করার সক্ষমতা আছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশে রেলওয়ের একটি বড় সম্পদ।
তিনি বলেন, আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন হওয়ার পর থেকে সৈয়দপুর রেলওযে কারখানাকে আধুনিকায়ন করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে; সেই কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি জনবল সংকট দূর করতে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার সংকটের কারণে দেশের শতাধিক রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দিয়ে বন্ধ থাকা এসব স্টেশন চালু করা হবে।
আগামী পাঁচ বছরে মন্ত্রী রেলওয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) শামসুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহিদুল হক, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকার, জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন, পুলিম সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী সড়ক পথে নিজ নির্বাচনী এলাকা পঞ্চগড়ের উদ্দেশে রওনা দেন।