মঙ্গলবার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভাকুম গ্রাম থেকে তমিজ উদ্দিনকে (৫৫) আটক করা হয়।
র্যাব-৪ এর মেজর আব্দুল হাকিম বলেন, তাদের কাছে পরিচয় গোপন করে তমিজ উদ্দিন ফোন করে জানান যে ভাকুম গ্রামের বাছের ফকিরের বাড়ির পাশে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, চারটি পেট্রোল বোমা, ১০টি হাতবোমাসহ পেট্রোল বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম রয়েছে।
“এই তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে বাছের ফকিরের বাড়ির পাশ থেকে উল্লেখিত আগ্নেয়াস্ত্র, হাতবোমা, পেট্রোল বোমাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়।”
মেজর হাকিম বলেন, এই অভিযানে আসার পর থেকে যে মোবাইল নম্বরে তাদের এই মেসেজ দেওয়া হয়েছিল সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এতে তাদের সন্দেহ হলে তদন্ত করে জানা যায় নম্বরটি স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক তমিজ উদ্দিনের।
“পরে যে বাড়ির পাশ থেকে ওই অস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার হয় তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান যে বাছের ফকিরের এক ছেলে রাসেল (১৯) হত্যার মামলায় তমিজ উদ্দিনের ছেলে রাকিব প্রধান আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন হাজত বাস শেষে জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন।”
মেজর হাকিম বলেন, পরে র্যাব তমিজ উদ্দিনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাকে সিংগাইর থেকে আটক করে। বাছেদ ফকিরকে ফাঁসাতে এই অস্ত্র, গোলাবারুদ ও পেট্রোল বোমা তিনি রাখেন বলে স্বীকার করেছেন।