কোতোয়ালি থানার ওসি মনসুরুল আলম জানান, রোববার রাত ১২টার দিকে শহরের কৃষ্টপুর আলিয়া মাদ্রাসা রোডের পরশ প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নবজাতকের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, “রোববার সকালে তিনি তার স্ত্রী জান্নাতকে ওই হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার করে তার এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আধাঘণ্টা পর পরিবারের কাছে মৃত সন্তান হস্তান্তর করে।
“ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
চিকিৎসকের অবহেলায় আঘাত পেয়ে তার সন্তান মারা গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল কবির মুরাদ দাবি করছেন, “জন্মের এক-দুই দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সিজার করে চিকিৎসক শিশির মৃত বাচ্চা বের করে আনেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকের অবহেলা নেই।”
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন এ কে এম আব্দুর রউফ বলেন, “ওই হাসপাতালের সরকারি কোনো বিন্ধন নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
ওসি মনসুরুল আলম বলেন, নবজাতকের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালের মালিক রেজাউল করিম মুরাদসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।