এ ঘটনায় এক যুবককে আটকে রেখে মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশি পাহারায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান।
আহত ইমতিয়াজ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মারধরের শিকার স্থানীয় যুবক আরিফ ইসতিয়াক রোমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। নিজেকে স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন তিনি।
এরপর রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের পাশে একটি দোকানে ইমতিয়াজ নাস্তা খাওয়ার সময় বাইরে থেকে আসা কয়েকজন যুবক তার গলায় ছুরি মেরে পালিয়ে যায়।
পালানোর সময় রোমেনকে আটক করে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। সেখানে তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রোমেনকে বের করে আনা হয়। তাকে গাড়িতে তোলার সময় আবার হামলা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় পুলিশের ডিসি, এডিসি ও ওসি লাঞ্ছিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদককে ছুরিকাঘাত করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভেবে দেখব।”
সহকারী প্রক্টর শিবলী ইসলাম বলেন, “বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করবে এটাতো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই আমরা বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।”
মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, “রোমেনকে বের করার সময় টানাহেঁচড়ার মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত থাকার পরও এমন ঘটনা দুঃখজনক।”