নোয়াখালীতে গৃহবধূকে ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৪, জাকিরের স্বীকারোক্তি

নোয়াখালীর কবিরহাটে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2019, 02:47 PM
Updated : 20 Jan 2019, 02:51 PM

গ্রেপ্তাররা হলেন জাকির হোসেন, মান্না, হারুন ও সেলিম। এদের মধ্যে মান্না হলেন ওই গৃহবধূর স্বামীর সৎ ভাই।

এলাকাবাসী ঘটনার প্রধান আসামি জাকির হোসেনকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা বললেও আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করেছে। 

অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রোববার এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন।

কবিরহাট থানার ওসি মির্জা মো. হাছান জানান, রোববার জাকির হোসেন নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহ-এর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাতে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে স্বামীর অনুপস্থিতিতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে একদল যুবক।

এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে ওই নারী স্থানীয় জাকির হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়জনকে আসামি করে কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত ২৩ ডিসেম্বর বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলায় ওই নারীর স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

তার স্বামী ধানের শীষের কর্মী বলে মামলায় জড়িয়ে কারাগারে ঢোকানো হয়েছে বলে তার ভাষ্য।   

কবিরহাট থানার ওসি হাছান বলেন, জাকির হোসেন এ ঘটনায় জড়িত মান্না, হারুন ও সেলিমের নাম প্রকাশ করেছেন। এরপর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

ওসি বলেন, জাকির হোসেন পুলিশকে বলেছেন- ভুক্তভোগীর স্বামীর সৎ ভাই মান্না ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং পূর্ব বিরোধের জেরে তিনি অন্যদের নিয়ে এই ঘটনা ঘটান।

এদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেনকে দলের কোনো প্রকারের সদস্য নন বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। 

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান স্বক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাকির আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো প্রকার সদস্য নন। ওই নারীর ঘরে চুরি করার উদ্দেশ্যে ঢুকে জাকিরসহ কয়েকজন গৃহবধূর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তার জাকিরসহ অন্য আসামিদের সর্ব্বেচ্চ শাস্তি দাবি করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি এলাকাবাসীর

এ ঘটনায় রোববার মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী সকল জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

দুপুরে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সমিতি বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তরা যত প্রভাবশালীই হোক তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।