১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণদের এ সুযোগ দিতে চায় জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠনটি।
যেসব তরুণের মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার পরিকল্পনা রয়েছে কিন্তু অর্থের অভাবে শুরু করতে পারছেন না, তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সম্প্রতি বগুড়ার স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চেম্বারের ব্যতিক্রমী ওই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিসিসিআই সহ-সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী পাঁচ বছরে দেশের এক কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই বগুড়া চেম্বারের পক্ষ থেকে তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
“এজন্য উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী বগুড়া জেলার তরুণদেরকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বিসিসিআই সভাপতি বরাবর ওই আবেদন করতে বলা হয়েছে।”
পরবর্তীতে সাক্ষাৎকার নিয়ে তরুণদের বাছাই করে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়া হবে। আগ্রহী তরুণদের জামানত ছাড়াই এক বছরের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে বলে মাফুজুল জানান।
উদ্যোক্তা হতে আগ্রহীদের জন্য ঋণ সুবিধা প্রদানের ঘোষণা সম্বলিত ‘চেম্বার বিজ্ঞপ্তি’ গত বুধবার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর তরুণদের মধ্যে তা ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই শহরের ঝাউতলা চেম্বার ভবনে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
তাদের একজন শহরের চারমাথা এলাকার আশিকুর রহমান। সদ্য স্নাতকোত্তর করা এই যুবক অনলাইনে পণ্য বেচা-কেনার পরিকল্পা করেছেন। কিন্তু একটি দোকান ও একটি কম্পিউটারের অভাবে সেটি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “আমি আবেদনের নিয়ম-কানুন শুনতে এসেছিলাম। দুয়েকদিনের মধ্যেই আদেন করব। আপাতত দেড় লাখ টাকা পেলেই আমি ব্যবসাটা শুরু করতে পারব।”
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন বলেন, আগ্রহী তরুণদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের পর তাদের প্রত্যেকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। সেখানেই জানার চেষ্টা করা হবে কে কোন ধরনের উদ্যোগ নিতে চান।
“যারা শূন্য থেকে শুরু করতে চান আমরা তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেব।”
ঋণের সীমা ২ লাখ ৮০ টাকা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার ওপরে কেউ বিনিয়োগ করতে গেলে তাকে কর দিতে হবে।
“যেহেতু নতুন একজন উদ্যোক্তার পক্ষে কর পরিশোধ করা কষ্টকর হবে তাই আমরা ঋণ সীমা আপাতত ২ লাখ ৮০ হাজারেই সীমাবদ্ধ রেখেছি। তবে যদি কেউ ভালো করতে পারে তাহলে আমরা বছর বছর তার ঋণের পরিমাণ বাড়াব।”
জামানত ছাড়াই স্বল্প সুদে এই ঋণ প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।