জেলার শার্শা উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সবুজে ঘেরা এই বিলে ভিড় করে আছে হরেক রকমের পাখি।
বিলের ৫০ গজ দূরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রেখায় কাঁটাতারের বেড়া।
নাভারন ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার বাড়ি ওই গ্রামে।
তিনি বলেন, “এখানে প্রতিবছর প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি আসে। নানা জাতের এসব পাখির মধ্যে আছে পার্পল সোয়াম্প হেন বা কালেম, গ্রেট কর্মোরান্ট বা ছোট পানকৌড়ি, লিটল কর্মোরান্ট বা বড় পানকৌড়ি, ওরিয়েন্টাল ডার্টার বা সাপ পাখি, ডাহুক, জল মোরগ, দল পিঁপিঁ বা নেউ পিঁপিঁ, গ্রেট এগ্রেট বা বড় বক, গ্রে হেরন বা ধুসর বক, পার্পল হেরন বা বেগুনি বক ইত্যাদি।”
মোহম্মাদ আলী বলেন, পাখি শিকারিদের লোলুপ দৃষ্টি এখানে পড়লেও গ্রামবাসী সজাগ থাকায় কেউ তাদের ক্ষতি করতে পারে না।
এখানে পাখি দেখতে এসেছিলেন আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি।
আলী হোসেন অপর এক পর্যটক বলেন, গ্রাম ও শহর থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে এখানে অতিথি পাখি দেখতে। প্রকৃতির দৃশ্য ও পাখির আওয়াজে মন জুড়িয়ে যায়। শিশু যেমন মাতৃক্রাড়ে নিরাপদে থাকে তেমনি অতিথি পাখিরা এখানে নিরাপদে থাকে।
পাখির এ অভয়াশ্রম রক্ষায় গ্রামবাসী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম।
“উপজেলায় বিভিন্ন জলাশয়ে পাখি শিখারিরা ফাঁদ পেতে ও ইয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি আমরা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি।”