প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বিচরণ শেষে রাতেই বাঘটি বনে ফিরে গেছে বলে বন্কর্মীরা ধারণা করছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মো. মাহমুদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শীত মৌসুমে ভারানীর খালে পানি কমে গেছে। এ কারণে বাঘ মাঝেমধ্যে নদীর পার হয়ে লোকালয়ে চলে আসে।
“বনকর্মীরা খবর পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। এতে সোনাতলা ও পানিরঘাট এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বাঘ বুধবার রাতে লোকালয়ে এসে আবার বনে ফিরে গেছে বলে ধারণা করছি।”
বন বিভাগের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাইক দিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
“খবর পেয়ে শরণখোলার রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দলও সেখানে আসে। পরে গ্রামবাসীকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু বাঘের কোনো সন্ধান না পেলেও বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখা গেছে।”
সোনতলা গ্রামের আবদুস সালাম মোল্লা, আউয়াল মাতুব্বরসহ অনেকই জানান, রাত একটা-দেড়টার দিকে বাঘের গর্জন শুনতে পেয়েছেন তারা। ভোরে তারা সুন্দরবন বিভাগসহ ওয়াইল্ড টিমের সদস্যদের খবর দেন। এখন গ্রামের মানুষের মধ্যে বাঘ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এখ অনেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন বলেও জানান তারা।
“ধারণা করছি রাতেই বাঘটি সুন্দরবনে ফিরে গেছে। তবে আবার কোনো বাঘ যাতে লোকালয়ে ফিরে কোনো মানুষের ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
সুন্দরবনের বগী স্টেশন, তেড়াবেকা টহল ফাঁড়ি ও শরণখোলা স্টেশনের বনরক্ষীদের নিয়ে নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।