বৃহস্পতিবার এসব দুর্ঘটনায় রংপুরের পীরগঞ্জে তিন জন, বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দুই জন এবং মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরে এক জন করে নিহত হন।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, পীরগঞ্জ উপজেলায় বাসের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
জেলা হাইওয়ে পুলিশের এসআই মোয়াজ্জেম জানান, উপজেলার বিশমাইল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-ধাম বলতে পারেনি।
এসআই মোয়াজ্জেম বলেন, হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস রংপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। একই সময় তিন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল বিশমাইল এলাকায় আঞ্চলিক রাস্তা থেকে মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা করলে বাসটি তাদের ধাক্কা দেয়।
“ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন নিহত হন।”
বগুড়া প্রতিনিধি জানান, কাহালু উপজেলায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন একজন।
সন্ধ্যা ৭টায় বগুড়া-কাহালুর জামগ্রাম সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ফজলুল হক লেবু (৭০) ও সাইফুল ইসলাম সুজা (৩০)।
আহত ব্যক্তিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে কাহালু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শওকত কবীর বলেন, ওই তিন জন মোটরসাইকেলটি নিয়ে জামগ্রাম বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
“কালীপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি তালগাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়।”
আশপাশের লোকজন আহতেএকজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে ওসি জানান।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়ায় সকালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
নিহত ফিরোজা বেগম (৭২) উপজেলার বাড়ৈপাড়া গ্রামের মৃত তাইজুদ্দিন বেপারীর স্ত্রী।
সিরাজদিখান থানার এসআই সবুর খান বলেন, নিজ বাড়ির সামনে সড়ক পারাপার হতে গেলে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ফিরোজা বেগমকে ধাক্কায় দেয়। এতে সড়কের উপর লুটিয়ে পড়লে মাথায় আঘাত পান তিনি।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে মোটরসাইকেল চালক ফাহাত হোসেন ওই বৃদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দুপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
তাকে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তার সহপাঠীদের।
নিহত হযরত ওমর (১২) কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার শিমুল হোসেনের ছেলে। সে চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাস বলেন, দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হলে বের হয়ে সে চন্দ্রা ত্রিমোড় বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি আজমেরি পরিবহনের বাসে ওঠার চেষ্টা করে।
“এ সময় ওই বাসের সহযোগী তাকে ধাক্কা দিলে সে সড়কের উপর পড়ে যায়। এ সময় পিছনে থাকা আরেকটি আজমেরি পরিবহনের বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”
খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান আনন্দ কুমার।