কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ঢালাই চলাকালে হঠাৎ সাটারিং ভেঙে ছাদটি ধসে পড়ে।
নিহত হয়েছেন কুমারখালী উপজেলার চড়াইকোল গ্রামের বাসিন্দা বজলুর রহমান (৫৫)।
আহতরা হলেন নিহত বজলুর রহমানের ছেলে পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের ছাত্র গালিব (২৩), শাহবুদ্দিন (৪২), পলান মন্ডল (৬০), কুমারখালীর কয়া গ্রামের সোহেল (২৫) এবং চড়াইকোল গ্রামের ইউনুস আলী (৫৫)।
তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কর্মরত শ্রমিকদের বরাত দিয়ে ওসি নাসির বলেন, তিনতলার সমান উচ্চতার ওই ছাদ ঢালাইয়ের শেষের দিকে হঠাৎ সাটারিং ভেঙ্গে পড়ে। সেখানে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকরা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ করেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাস্তবায়নকারী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হান্নান বলেন, নির্মাণাধীন হাসপাতাল ভবনের কাজ প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রেখেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
“হঠাৎ করে তারা কবে থেকে কাজ শুরু করেছেন তা গণপূর্ত বিভাগ অবগত নয়। তাছাড়া ঢালাই শুরুর আগে সাটারিং ঝুঁকিমুক্ত ছিল কিনা সেগুলি পরীক্ষা না করেই ঢালাই শুরু করেছিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।”
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প পরিচালক ডা. আশরাফুল ইসলাম দারা বলেন, “নির্মাণকালে অবশ্যই কোনো ত্রুটি ছিল, তাই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত ও ছয় শ্রমিক আহত হন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজাদ জাহানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করেছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।