সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিককে পিটুনি, গ্রেপ্তার ৩

বগুড়া শহরে একটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের চিত্র ধারণ করার সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুই জন সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2019, 02:24 PM
Updated : 17 Jan 2019, 02:25 PM

সদর থানার ওসি এমএম বদিউজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার কলোনি স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ‘রিয়েল লাইফ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে’ এ ঘটনা ঘটে।

পিটুনির শিকার হয়েছেন ঢাকা থেকে আসা যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০’ টিমের সদস্য এসএম জিয়া ও তার ক্যামেরাম্যান। তার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।  

এ ঘটনায় এসএম জিয়া সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছেন বলেও ওসি জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন বগুড়া শহরের দক্ষিণ ঠনঠনিয়ার মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে রিয়াল লাইফ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক নুর মোহাম্মদ (৩৮), প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শহরে নাটাইপাড়ার মৃত রামচন্দ্র দাসের ছেলে পলাশ কুমার দাস (৩৩) এবং আরেক কর্মচারী শহরের লতিফপুর কলোনির আশরাফ আলীর ছেলে আরকু (২৮)।

জিয়া বলেন, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক নিরাময় কেন্দ্র নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করছেন। এর ধারাবাহিকতায় টিম নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বগুড়া শহরের কলোনি এলাকায় রিয়াল লাইফ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আসেন। পরিচয় দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের দুজনকে ভিতরে ঢুকতে দেন।

“এরপর অনুমতি নিয়ে নিরাময় কেন্দ্রের অনিয়মের ছবি ভিডিও করার সময় হঠাৎ তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে পরিচালক নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ৮-১০ জন তাদের উপর চড়াও হয়। মারপিট করতে করতে তাদের একটি ঘরে আটকে রাখে।”

খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বলে জিয়া জানান।

সদর থানার ওসি এমএম বদিউজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার এসএম জিয়া মামলা করেছেন। তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পিটুনির শিকার সাংবাদিকরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।