নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার অ্যাস্বুলেন্সে করে স্বামীর সঙ্গে ফিরে যান তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় তার স্বামী মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় রুহুল আমিনসহ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুহুলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে চরজব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিনকে।
আরএমও মহিউদ্দিন বলেন, ধর্ষণ, হাত ভাঙা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই নারীকে ১৭ দিন ধরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, “বাড়ি ফেরার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তার সঙ্গে গিয়েছে। তার নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।”
এ ঘটনায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলেও ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে আটজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।