সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মঙ্গলবার উৎসবের উদ্বোধন করেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই লোকজ উৎসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমাদের চিত্ত ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এই মেলা। উৎসবে বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যও ফুটে ওঠে।”
বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মিলন মেলার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরা হবে।
সোনারগাঁওয়ে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য সাংস্কৃতিক জোন তৈরিসহ সরকার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
এবারের মেলার আকর্ষণ গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অংশ ‘ভালবাসার তামা-কাঁসা-পিতল শিল্পের’ বিশেষ প্রদর্শনী।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের নকশিপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্প, সোনারগাঁওয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মোট ১৭০টি স্টল রয়েছে মেলায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উৎসবে আগত দর্শনার্থীরা মেলা উদ্বোধনের সঙ্গে তাদের কেনাকাটাও সেরে নিচ্ছেন।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খোরশেদ আলম, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি প্রমুখ।