সোমবার মালেকের বাড়ি এলাকায় ‘টেক্স টেক কোম্পানি লিমিটেড’ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
কারখানা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, হামলায় তাদের অন্তত সাত শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় কারাখানা কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুর ও সাভারে শ্রমিকদের কয়েকদিনের আন্দোলনের মুখে মজুরি কাঠামো সংশোধনের একদিন পর এ ঘটনা ঘটল।
টেক্স টেক কোম্পানি লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরুল আলম বলেন, গাজীপুরের সব কারখানায় সোমবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। শ্রমিকরা কাজ করা শুরু করলে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বহিরাগত দেড় থেকে দুই শতাধিক লোক লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে ওই কারখানার মূল ফটকে এসে জড়ো হয়।
তিনি বলেন, এ সময়ে তারা শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয় এবং কাজ বন্ধ করে বের হয়ে আসার আহ্বান জানায়; কিন্তু কারখানার শ্রমিকরা বহিরাগতদের কথায় কর্ণপাত না করে কাজে থাকে।
নাসিরুল বলেন, এ সময় কারখানার সামনে থাকা দুইটি গাড়ি, সিসি ক্যামেরাসহ দরজা-জানালার কাচ ভাংচুর করেছে। তারা কিছু মালামাল লুটও করেছে। তাদের হামলায় কারখানার অন্তত সাত জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে গাছা থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে তিনি জানান।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা আক্তার, হিফজুল মিয়া, মো. সাইফুল, নুর ইসলাম, মো. আশরাফুল ও রহিমা আক্তার। একজনের নাম জানা যায়নি। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাসিরুল।
এ ঘটনার পর কারখানা এক দিনের (সোমবার) জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী বলেন, সকালে একটি কারখানায় বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিল্প পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় সোমবার বিকালে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় কারখানার অন্তত ৩৫ লাখ টাকার সম্পদহানি হওয়ার অভিযোগ আনা হয় বলেও তিনি জানান।