এক মাস বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও শিক্ষকদের একটি অংশের ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে ‘বেতন বৈষম্য’ নিয়ে সহকারী অধ্যাপকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এর ফলে কম্পিউটার সায়েন্সসহ বিজ্ঞান ও ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন আকাশ, দেলোয়ার হোসেন, জিহাদ রাফসান, পিপাসাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা সেশন জটে পড়ে গেছেন।
শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, “তাই ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিতে বাধ্য হয়েছি।”
এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অচল করে দেওয়া হবে বলে তিনি হুমকি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার কর্মস্থলে না থাকায় প্রক্টর এ বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।
“সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩ (২) ধারার একটি আদেশ বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদের বেতন বাড়াচ্ছেন না।
“কিন্তু জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ২৮ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে উক্ত বেতনসহ বিভিন্ন সময়ে জারি করা পরিপত্র/প্রজ্ঞপন যে নামে থাকুক না কেন সুবিধা বলবৎ থাকবে।”