রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, শনিবার ভোরে সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
“চালক সুমনকে সাভার থেকে এবং তার সহকারী রুমনকে আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়।”
গত বুধবার (৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় আহত হন অহনা। এ ঘটনায় অহনার খালাত বোন লিজা ইয়াসমীন বাদী হয়ে ওইদিনই উত্তরা থানায় মামলা করেছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে মামলার আসমিদের আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। ভোরে গোপন সংবাদ পেয়ে সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ৯ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর উত্তরায় খালাত বোনকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে উত্তরার নিজ বাসায় যাওয়ার পথে ৭ নম্বর সেক্টরে একটি বেপরোয়া গতির পাথর বোঝাই ট্রাক তার প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অহনার গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় অহনা ক্ষুব্ধ হয়ে চালককে ট্রাক থেকে নামতে বলেন এবং তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
ওসি বলেন, ট্রাকটি উত্তরা ৭ নম্বর থেকে ১২ নম্বর সেক্টরের গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে চালক ও তার সহকারী (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-১৮২৬) ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে যান। উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। এ সময় রাস্তায় থাকা পাথরের উপর ছিটকে পড়ে আহত হন অহনা। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অহনা বর্তমানে উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় খানিকটা ভালো বলে জানিয়েছেন তার খালাত বোন লিজা ইয়াসমীন।
হাসপাতাল থেকে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওর শরীরে এখনও প্রচুর ব্যথা রয়েছে। ডাক্তাররা আগামীকাল এক্সরে করবেন তারপর বিষয়টা বোঝা যাবে আসলে কী ঘটেছে।