বৃহস্পতিবার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে ১৫টির মতো বসতবাড়ি ভাংচুর ও দুটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে নগরকান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হানিফ রানার সঙ্গে যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক কামাল হোসেনের এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
মহিউদ্দিন জানান, এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে কামাল হোসেনের সমর্থক শাকিল কাইচাইল বাজারে হানিফ রানার সমর্থক চান মিয়াকে কিল ঘুষি মারেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হানিফ রানার সমর্থকরা দেশি অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এরপর দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
“পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে জেসমিন (৩২) নামে মহিলাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকারীরা প্রায় ১৫টি বসতঘর ভাংচুর ও দুটি রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করে।”
আহতদের নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কোনো পক্ষই থানায় মামলা করতে আসেনি বলে তিনি জানান।
কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, “হানিফের লোকজন আমার সমর্থক হায়দার মুন্সি ও ইমদাদ মুন্সির দুটি রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে।”
হানিফ অস্বীকার করে বলেন, “কামাল আমার এবং আমার সমর্থকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে নিজেদের রান্না ঘরে নিজেরা অগ্নিসংযোগ করেছে।”