গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপিসহ ৩ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

পুনঃতফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠেয় গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিসহ তিন প্রার্থী।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2019, 10:44 AM
Updated : 27 Jan 2019, 03:16 PM

‘দলীয় সিন্ধান্তে’ তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন বলে জানান।

ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত বিএনপির প্রার্থী মইনুল হাসান সাদিক, বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত বাসদের প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম গোলাপ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ দেওয়ান এই ঘোষণা দেন।

মইনুল হাসান বেলা ৩টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন এ দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী লীগের ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তিসহ ভোট ডাকাতির মহোৎসব হয়েছে।

“এ কারণে এ আসনের নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। তাই আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম। একই সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নিদর্লীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”

জেলা বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।

বাসদ প্রার্থী সাদেকুল ইসলামও নির্বাচন বর্জনের পেছনে একই কারণ দেখিয়েছেন।

তিনি জেলা বাসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বর যে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে, তাতে এই সরকারের অধীনে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই। সে কারণে আমি এই নির্বাচন থেকে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”

হানিফ দেওয়ান বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনই বলে দেয়, এই সরকারের অধীনে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই দলীয় সিন্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”

গত ২০ ডিসেম্বর এ আসনের ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রার্থী টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যু হয়। ফলে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন পুনঃতফসিল ঘোষণা করে।

সে অনুযায়ী আগামী ২৭ জানুয়ারি এ আসনের নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ২ জানুয়ারি। আর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ৩ জানুয়ারি।

তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় এখন এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন পাঁচজন।

তারা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টির দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।