বাদীকে ‘ধর্ষণ’, আইনজীবী সহকারীসহ গ্রেপ্তার ২

কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় একটি মামলার বাদীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই আইনজীবী সহকারীসহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2019, 05:54 PM
Updated : 9 Jan 2019, 05:54 PM

গত ২২ ডিসেম্বর লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের শানিচোঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও এতদিন বিষয়টি প্রকাশ পায়নি।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) ওই নারী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা করার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন মামলার আসামি আইনজীবী সহকারী আনিসুর রহমান ও এক আইনজীবীর বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাস।

অপর আসামি হলেন শানিচোঁ গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আইনজীবী সহকারী জহিরুল ইসলাম। তাকে আটক করা যায়নি।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বলেন, স্বামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দিতে এসে আইনজীবী সহকারী জহিরুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মামলায় সহায়তার আশ্বাস দিয়ে জহিরুল ওই নারীকে নিজের গ্রামের বাড়ি দাওয়াত করেন।

তিনি বলেন, সেই অনুযায়ী জহিরুল গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ওই নারীকে শানিচোঁ গ্রামে এক আইনজীবীর বাড়ি নিয়ে যান। দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জহিরের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করেন কুমিল্লা কাপ্তান বাজারের আশেক আলীর ছেলে আইনজীবী সহকারী আনিসুর রহমান ও বাড়ীর দারোয়ান লিটন বিশ্বাস।

“ধর্ষণের পর ওইদিন সন্ধ্যায় আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে কাউকে না বলতে ও ফোন করে মামলা না করার জন্য বার বার হুমকি দেয় তুহিন ও জহির।”

এ ঘটনার পর কুমিল্লার বিভিন্ন আইনজীবীসহ গণ্যমান্যদের কাছে বিচার চেয়ে না পেয়ে তিনি বুধবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে জহিরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও লিটন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আনিসুর রহমান ও লিটন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য পলাতক আসামিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

বুধবার বেলা ১১টায় ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন ও সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক খাদেমুল বাহার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলেও তিনি জানান।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহিদ মেম্বার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি খালি পেয়ে দিনে ও রাতে এসএম তুহিন ও প্রাইভেটকার চালক মাসুদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে দারোয়ান লিটন বিশ্বাস ‘খারাপ’ নারী পুরুষদের রাত্রিযাপনের সুযোগ করে দিয়ে আসছে।

বাড়িটি স্বনামধন্য এক আইনজীবীর হওয়ার কারণে গ্রামের কেউ মুখ খোলে না বলে তার ভাষ্য।