বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুই দেশের যৌথ সভায় রপ্তানি পণ্য ভারত সীমায় খালাসের সিদ্ধান্ত হয়।
“সে অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি বাংলাদেশ অংশে আনলোড না হয়ে সরাসরি ভারত অংশে গিয়ে আনলোড করা শুরু হয়। এতে বেকার হয়ে পড়েন বাংলাদেশ অংশে কর্মরত কয়েক শ শ্রমিক। তাদের বাধার মুখে শুরু থেকে, গত সাত দিন ধরে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আনলোড অবস্থায় আটকা পড়েছে।”
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার এ সমস্যার একটি সুরাহা হতে পারে বলে আশা করছি।”
এদিকে এই অচলাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।
স্থলবন্দরের রপ্তানিকারক ইপ্তি টের্ডাসের মালিক নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, বন্দরের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ায় ব্যবসায়িকভাবে তাদের বিপুল লোকসান গুনতে হচ্ছে।
“নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য ডেলিভারি না দিতে পারায় রপ্তানি আদেশ বাতিলের হুমকিতে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। পণ্য আনলোড না করতে পেরে অনেকে তারা ট্রাক ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।”
২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর চালু হওয়া এই স্থলবন্দরটি দিয়ে শুধু বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয়।