নোয়াখালীর ধর্ষণ মামলা ডিবিতে, গ্রেপ্তার আরও ২

ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2019, 04:18 PM
Updated : 6 Jan 2019, 04:20 PM

এ ঘটনায় রোববার আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া একইদিন আদালতে ওই নারীর জবানবন্দিও নেওয়া হয়।  

পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, রোববার সন্ধ্যায় সুবর্ণচর থেকে মামলার ৭ নম্বর আসামি আবুল হোসেনকে এবং একই সময়ে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুরাদ এ মামলার এজাহারের আসামি না হলেও পুলিশের তদন্তে ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ উঠে আসে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে রোববার গভীর রাতে মামলার ৯ নম্বর আসামি ছালাউদ্দিনকে ফেনীর সুলতানপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ নিয়ে এই মামলায় মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

এসপি ইলিয়াছ শরীফ বলেন, “মামলাটি তদন্তের জন্য আজ জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সাথে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় ওই নারীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।”

দ্রুততম সময়ে মামলার এজাহারভুক্ত অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ্ব এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘরে ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।

এ মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে রোববার বিকালে সাত জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন-বাদশা আলম বাসু, রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন, হাসান আলী ভুলু, মো. সোহেল, স্বপন ও বেচু।