শনিবার জেলা শহরের পাইকপাড়ায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, স্থগিত তিন কেন্দ্রে মোট ভোটারের ৫৬৩ জন মৃত ও বিদেশে অবস্থান করছেন।
“মোট ভোট থেকে বিদেশ অবস্থানরত ও মৃত ভোটারদের সংখ্যা বাদ দিলে যা থাকে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেলেও আমার ভোট বেশি থাকে।”
নির্বাচন কমিশন তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নিলে ওই তিনটি কেন্দ্রে পুনঃভোট প্রয়োজন হয় না বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাহার লোকজন নানান রকম গুজব রটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তারা লোকমুখে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে মৃত ও বিদেশিদেরসহ নির্বাচনের রাতেই কাস্ট দেখাবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সাত্তার বলেন, এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তিন কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত থাকায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী প্রাপ্ত ভোট ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিনের কলার ছুড়ির প্রাপ্ত ভোট ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। ধানের শীষ ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে আছে। আর স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪।
আগামী ৯ জানুয়ারি স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে পুনঃ ভোট গ্রহণ হবে।