থানা সড়কের ক্রিয়েটিভ কোচিং সেন্টারে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দণ্ডিত আব্দুল মালেক (২৮) ক্রিয়েটিভ কোচিং সেন্টারের পরিচালক এবং কুষ্টিয়া শহরের মজমপুরের বাসিন্দা মহির উদ্দিনের ছেলে। বিচারের পর তাকে কারাগারে পাঠঅনো হয়েছে।
মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, থানা গেইটের বিপরীতে পরিচয় কিন্ডারগার্টেন নামে একটি শিশু শিক্ষা স্কুলের কক্ষে পরিচালিত হয় ক্রিয়েটিভ কোচিং সেন্টার। এর পরিচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ছিল।
“শুক্রবার বিকালে মালেক ওই কোচিং সেন্টারের অন্য শিক্ষার্থীদের বিদায় করে একজন এসএসসি পরিক্ষার্থীকে রেখে দেন এবং তার সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেন।”
ওসি বলেন, এ সময় স্থানীয়রা মালেককে ধরে পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মালেককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জামালের হাতে সোপর্দ করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তার বিচার করেন।
ইউএনও এসএম জামাল বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে আব্দুল মালেক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন এবং ভুক্তভোগী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যমতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বড় বোনের অভিযোগ, কোচিং সেন্টারগুলিতে পড়তে আসা ছাত্রীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সামাজিক বাস্তবতায় এজাতীয় নির্যাতনের শিকার হয়েও অধিকাংশ সময় কেউ মুখ খুলতে চান না।
তিনি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজের নেতা গোলাম মহসিন বলেন, প্রাইভেট টিউটোরিয়ালগুলির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে উত্ত্যক্ত ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে কোচিং সেন্টারগুলির উপর নজরদারি বাড়াতে ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকবার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।