ভোটের রাতে ধর্ষণ: সন্দেহভাজন আরেকজন চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2019, 05:33 AM
Updated : 4 Jan 2019, 08:14 AM

গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন (৩০) সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে।

চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় নাম না থাকলেও পেশায় কলা বিক্রেতা জসিম ওই ধর্ষণের ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জসিমের সম্পৃক্ততা পায়।

পরিদর্শক খলিল বলেন, “জসিমের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চরজব্বার থানা পুলিশের একটি দল রাতে চট্টগ্রামে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।“

গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনার পর এ পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, চারজন ইটভাটা শ্রমিক।

মামলার অপর আসামিদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক খলিল।

ধর্ষণের শিকার ওই চল্লিশোর্ধ নারী অভিযোগ করে আসছেন, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

মামলার এজাহারে মোট নয়জনকে আসামি করা হলেও সেখানে চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের নাম না থাকায় বুধবার রাতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন ওই নারী।

এরপর সেই রাতেই জেলা সদরের একটি হাঁস-মুরগীর খামার থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে দলীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে রুহুল আমিন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখন নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডাক্তারি পরীক্ষায় তাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।