সবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় রুহুল আমিনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুহুল আমিন দলের লোক হলেও অন্যরা দলের কেউ নয়।
“যেহেতু রুহুল আমিনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতি দ্রুত তা দলীয়ভাবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।”
রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের সুবর্ণচর উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব এক নারী নিজের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে।
বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনেও ওই নারীকে ধর্ষণের আলামাত পাওয়ার কথা বলা হয়।
ওই নারী অভিযোগ করে আসছেন, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গোপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
এরপরও চরজব্বার থানা পুলিশ মামলার এজাহার থেকে রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়েছে বলে বুধবার রাতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী।
চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা তার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন রুহুল আমিন, বেচু, সোহেল, স্বপন ও বাসু।
আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গোপাঙ্গদের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছেন।
আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ধরনের ঘটনা ‘নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ মন্তব্য করে এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানান।