ভোটের রাতে ধর্ষণ: ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত মিলেছে

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2019, 12:08 PM
Updated : 3 Jan 2019, 05:19 PM

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, “মেডিকেল বোর্ড যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভোটের দিন রোববার রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামের চল্লিশোর্ধ এক নারী নিজের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই নারী অভিযোগ করে আসছেন, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গোপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।

এর পরও চরজব্বার থানা পুলিশ মামলার এজাহার থেকে রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়েছে বলে বুধবার রাতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী।

ডিআইজি ফারুক ধর্ষণের ঘটনায় রুহুল আমিনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ার পর গভীর রাতে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে মেডিকেল প্রতিবেদনটি আমার কার্যালয়ে আসে।”

এ মামলার তিন আসামি সোহেল, স্বপন ও বাসুকে দুপুরে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন রুহুল আমিন, বেচু, সোহেল, স্বপন ও বাসু।

চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা তার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গোপাঙ্গদের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছেন।

আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। অপরাধী যে-ই হোক, শাস্তি তাকে পেতেই হবে।”