হাসপাতালে যুবকের উপর ‘হামলা’, সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১২

লক্ষ্মীপুরে মারধরে আহত এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তির পর তার উপর ফের হামলার অভিযোগ উঠেছে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2019, 01:19 PM
Updated : 2 Jan 2019, 01:19 PM

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, বুধবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেন নামের ওই যুবকের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।  

এ সময় সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত দশ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে বলে এসপি জানান।

দেলোযারের বাড়ি সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামে।

সংঘর্ষে আহত এবং সংঘর্ষের পর আটকদের মধ্যে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা থাকলেও হাসপাতালে হামলাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট করেনি পুলিশ।   

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিলে দেলেয়ার লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ আব্দুর রহমান ফজলুর উপর হামলা করেন। ওই ঘটনায় করা হত্যা চেষ্টা মামলায় দেলোয়ার জেলে ছিলেন। মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফেরেন তিনি।

“বুধবার সকালে দেলোয়ার ছুরি হাতে আবার আব্দুর রহমানকে আক্রমণ করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেন।

“পুলিশ তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় একদল যুবক দেলোয়ারের উপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের উপর হামলা করলে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে।”

পুলিশ সুপার বলেন, সংঘর্ষে এসআই আব্দুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবল নয়ন, কনস্টেবল মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহউদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ দশ জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন সদর পশ্চিম উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান মাহবুব, লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর য়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক আজগর, ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আফলু, ছাত্রলীগ নেতা আশেক, রোকন, সাইমুন ও রনি। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সভাপতি একে এম সালাউদ্দিল টিপু পায়ে ব্যাথা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। এরপর আর কোনো কথা না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।