গোপালগঞ্জের ৫ যমজ একসঙ্গে নতুন বই পেয়ে খুশি

এক দিনে জন্ম, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, একসঙ্গে নতুন বছরের বই পেয়ে উৎফুল্ল গোপালগঞ্জের পাঁচ সহোদর।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2019, 12:10 PM
Updated : 2 Jan 2019, 12:38 PM

সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গফ্ফার খানের সন্তান তারা।

২০১২ সালের ২১ জুলাই রুবাইয়া খান হীরা, বুশরা খান মনি, রামিয়া খান মুক্তা, রাইসা খান মালা ও মাহির গফ্ফার মানিক নামে এই চার বোন ও এক ভাইয়ের জন্ম।

তাদের মা সুমাইয়া বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা গত বছর থেকে মধ্যকরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তারা সব সময় একসঙ্গে চলাফেরা করে। একসঙ্গে স্কুলে যায়।

মঙ্গলবার স্কুল প্রাঙ্গণে বই উৎসবে তাদের হাতে বই তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গোলাম ফারুক।

ফারুক বলেন, “একসঙ্গে পাঁচ যমজের হাতে বই তুলে দিয়েছি। বই পেয়ে তারা খুবই উৎফুল্ল। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। তারা যেন ভালো মানুষ হয় সেই প্রত্যাশা করছি।”

পাঁচ যমজকে স্কুলে ভর্তির পর থেকে দৈনিকই কেউ-না-কেউ তাদের দেখেতে স্কুলে আসে বলে জানিয়েছেন মধ্যকরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার রায়।

তিনি বলেন, “তারা প্রাক-প্রাথমিকে ভাল করেছে। তারা প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আশা করছি তারা পড়াশেনায় ভাল করবে।”

একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের দেখাশোনার বিষয়ে তাদের মা সুমাইয়া বলেন, একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্মের পর হতচকিত হয়ে পড়েছিলেন। তারপর তাদের মানুষ করতে আর্থিকসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতায় পড়েন।

“পাঁচজনকে একসঙ্গে স্কুলে ভর্তির পর স্কুলে যাতায়াত, প্রস্তুত করা ও সেই সঙ্গে সংসার সামলাতে যারপরনাই কষ্ট করে যাচ্ছি। আর্থিক দৈন্য, দুর্বিষহ দুঃখ-বেদনা ও হাসি-কান্নার মধ্যে পাঁচ যমজকে  লালন-পালন করছি। বুকে আশা বেঁধেছি, একদিন তারা মানুষের মত মানুষ হবে।”

এই দম্পতি পাঁচ যমজকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।