ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে বর্তমানে তিনি শেরপুর শহরের বাগরাকশা মহল্লার বাড়িতে আছেন সন্তানদের সঙ্গে।
সরকারি সহায়তায় চিকিৎসা পেলে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারবেন বলে মনে করেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এই সদস্য মোজাম্মেল।
প্রায় ৮০ বছর বয়স্ক এই নেতা শেরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারে সদস্যবর্গ নিহত হওয়ার পর প্রতিবাদ সভা করার কারণে ১৭ মাস ময়মনসিংহ জেলা কারাগারের বন্দি ছিলেন।
শেরপুরের প্রগতিশীল অনেক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েক মাস ধরে লিভার জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন শেরপুরের বাড়িতে চিকিৎসকের পরামর্শে রয়েছেন।
দুধ ও তরল জাতীয় খাদ্য ছাড়া কিছু খেতে পারছেন না। অসুস্থতার কারণে কণ্ঠস্বর আগের চেয়ে ক্ষীণ হয়ে গেছে। শরীরও শুকিয়ে গেছে।
দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক মোজাম্মেল হক। স্ত্রী মারা গেছেন। এখন ছেলে ও পুত্রবধূরা তার দেখাশোনা করেন। চিকিৎসার ব্যয় বহন করছেন।
একইদিন তার সঙ্গে দেখা করতে যান শেরপুর জেলা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট প্রদীপ দে কৃষ্ণ ও শেরীপাড়ার এলাকার সমাজসেবক আব্দুস সালাম মোল্লা ও তার স্ত্রী।
মোজাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলাম। ১৯৭৫ সালে যখন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল তখন আমরা একটা মিটিং করেছিলাম। এ জন্য ময়মনসিংহ জেলে ১৭ মাস কারারুদ্ধ ছিলাম।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি আমার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হতো তাহলে সবচেয়ে ভালো হতো। আমি ভালো হতে চাই। আরও কিছুদিন বেঁচে যেতে চাই।”