মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া মোড়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ হয়।
পরে নবনির্বাচিত সাংসদ মুরাদ হাসান ও উপজেলা প্রশাসনের বিচারের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গত শুক্রবার সংঘর্ষে নরপাড়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে ইউসুফ আকন্দ (৩২) আহত হন। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানায়, পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৮ সালের ৩১ মে দুই দলের সংঘর্ষে জাহিদ হাসান নিহত হন।এর জের ধরে গত শুক্রবার সকালে জাহিদের চাচাত ভাই ইউসুফ আকন্দ ও প্রতিপক্ষ তোফাজ্জল মিলিটারি গ্রুপের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাধে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহব্বত কবীর জানান, সোমবার রাতে ইউসুফের লাশ এলাকায় পৌঁছলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকালে নরপাড়া মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
“তারা তারাকান্দি-ভুয়াপুর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখলে দুপুর প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত যমুনা সার কারখানার পরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।”
এ সময় এক সমাবেশে এমপি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ফতেহ লোহানী, পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়, নিহত জাহিদের বাবা নুরুল ইসলাম আ্কন্দ, নিহত ইউসুফ আকন্দের বাবা আব্দুল আউয়াল।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মোহব্বত কবীর জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।