শুক্রবার ভোরে উপজেলার মাত্রাই-বিয়ালা গ্রামে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের চার কর্মী মারধরে আহত হয়েছেন বলে দলের নেতাকর্মীরা জানান।
এ ঘটনার জন্য বিএপিকে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ; তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএনপি।
জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের য়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক বলেন, বিয়ালা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছিল।
“এর প্রতিবাদ করায় তারা আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অফিসে কয়েক দফায় হামলা চালায়।তারা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেও ক্ষান্ত থাকেননি, আমাদের ৪ জন কর্মীকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কালাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম ফকির বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে নির্বাচনের মাঠে না থাকতে পারে; সেজন্য নাটক সাজিয়ে মামলা করার কৌঁশল করছে আওয়ামী লীগ। তারা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোটে জয় পেতে চায়।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “তাদের নেতাকর্মীরা তো আমাদের মাঠেই থাকতে দিচ্ছে না। মারধর করছে, বিএনপির পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে।”
তিনি আরও বলেন, “আসল ঘটনা হল- আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি নির্বাচনী অফিসের চেয়ার-টেবিল ছিনিয়ে তাদের অফিসে নিয়ে গিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ছাড়া ওই বাজারের আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপি সমর্থকদের দুইটি দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ অর্থসহ প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে বলেও অভিযোগ করেন ইব্রাহিম।
এ বিষয়ে কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, আওয়ামী লীগের অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও তাদের কর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীদের কাছে অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।